ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলে অধূমপায়ী শিক্ষার্থীদের কক্ষে ধূমপায়ীদের সিট দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক সুপণ। শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হলের ফেসবুক গ্রুপে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

তিনি আরও জানান, ধূমপানমুক্ত কক্ষের বাইরে স্টিকার লাগানো থাকবে।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাজী মাহফুজুল হক সুপণ লিখেছেন, ‘তোমরা যদি নিজেদের কক্ষটিকে ধূমপানমুক্ত কক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করতে চাও, তাহলে কমেন্টে রুম নম্বরটি লিখে দাও। রুমমেটদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নাও। তোমাদের কক্ষের বাইরে ধূমপানমুক্ত কক্ষ হিসেবে স্টিকার থাকবে এবং ভবিষ্যতে তোমাদের কক্ষে কোনো ধূমপায়ী ছাত্রকে সিট দেওয়া হবে না।’

হল প্রাধ্যক্ষের এ স্ট্যাটাসের পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হলের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল হক তমাল ব‌লেন, হল প্রাধ্যক্ষের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। একজন অধূমপায়ী শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি, এটি শুধু আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, হলে একটি সচেতন ও সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একজনের অভ্যাস যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়– এ নীতিতেই এমন উদ্যোগ অন্যান্য হলেও গ্রহণ করা উচিত।

হলের আরেক শিক্ষার্থী মোবাশ্বির আলম বলেন, হলের কক্ষে ধূমপান একটি গুরুতর সমস্যা, যা একই কক্ষে থাকা অধূমপায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য চরম অসুবিধার কারণ হতে পারে। কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, রুমের সামগ্রিক পরিবেশ এবং বসবাসযোগ্যতা রক্ষার স্বার্থেও ধূমপানের বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। যদিও প্রতিটি ছাত্রের ব্যক্তিগত অভ্যাসের ওপর প্রশাসনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকা সমীচীন নয়, তথাপি যে অভ্যাস অন্যের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে বা সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করে, সেক্ষেত্রে প্রশাসনের ন্যূনতম হস্তক্ষেপ অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয়। বিগত সময়ে স্যার এ এফ রহমান হলে এ বিষয়ে কিছু অলিখিত নিয়ম প্রযোজ্য ছিল। এখন সময় এসেছে সেই নিয়মগুলোকে লিখিত আকারে প্রণয়ন ও বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সুস্থ, নিরাপদ ও সহনশীল আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিত করার।

এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিলেন হলটির প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক সুপণ। হলে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে ২০০ টাকা জরিমানা এবং ইয়াবা, গাঁজা বা অন্য কোনো মাদক সেবনের প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

এসএআর/এসএসএইচ