ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত হয়েছে সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ ও সঞ্চারণ– ঐতিহ্যের অনুরণন আয়োজিত সেমিনার “জুলাই ও মুসলিম রাজনৈতিক কর্তাসত্তা”। 

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ সেমিনার। 

সেমিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একাডেমিক ব্যক্তিত্ব ড. উসামা আল-আযামী বলেন, সেক্যুলারিজম যতই নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করুক, সে কখনোই নিরপেক্ষ আচরণ করে না। এটা নিজেই একটা ইজম বা মতবাদ।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিছক একটি রাজনৈতিক ঘটনাই নয়; এটি মুসলিম রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের একটি সম্ভাব্য পয়েন্ট। রাষ্ট্র ও কর্তৃত্বের ধারণাকে নতুনভাবে ভাবতে হলে আমাদের ইতিহাস, ধর্ম ও জনগণের চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না।

সেমিনারে বক্তব্যে ফাহমিদ-উর-রহমান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিছক রাজনৈতিক পালাবদল ছিল না; এটি ছিল মুসলিম জনচেতনায় জমে থাকা ক্ষমতা ও অধিকারহীনতার বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরণ। এই অভ্যুত্থান বুঝিয়ে দেয় যে মুসলিম রাজনৈতিক কর্তাসত্তার ধারণা এখন আর কল্পনা নয়, এটি বাস্তব ইতিহাসের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী শক্তি পূর্বে এক থাকলেও এখন তাদের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি হয়েছে। ক্ষমতার প্রশ্নে সেটা স্বাভাবিক, তবে যদি বাঙালি জাতীয়তাবাদী বয়ান ধার করে ইসলামী রাজনীতির বিরোধিতা করা হয়, তবে বিষয়টা উদ্বেগজনক।

তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং প্রয়োজনে সরকারকে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।

সেমিনারে বাঙলানামা জুলাই সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন বাঙলানামার নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঙলানামার সম্পাদক রাশিদুল হক তিমুর, সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের পরিচালক শিহান বিন ওমর, সঞ্চারণ: ঐতিহ্যের অনুরণনের প্রতিনিধি তোহা সেলিম, নৃবিজ্ঞানী খোন্দকার রাকিব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে মুসলিম সমাজের রাজনৈতিক চেতনার জাগরণ, সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আয়োজিত এই সেমিনারে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

এসএআর/এমএসএ