রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে আহ্বান জানাবো আপনারা এই দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যকে প্রশ্ন করবেন যে, তিনি কত টাকা কমিশন খেয়ে সুপারিশ দিয়েছেন। আর এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তার চেয়ার টেনে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে দায়িত্বশীল আচরণ যদি কোনো সংগঠন করে থাকে সেটা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য থেকে শুরু করে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী সকলকে সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন একটি কমিশনপ্রাপ্ত প্রশাসন। এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. সালেহ হাসান নকীব তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর প্রতারণা করে তথাকথিত ছাত্র নেতাদের ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদার নাম করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কিনা এই প্রশ্ন আমরা রাখলাম। ভিসি স্যারকে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে যে তিনি সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নাকি তথাকথিত ছাত্রনেতার ব্যাংক ব্যালেন্স ও পকেট ভারি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের আন্তরিকতা ও ভদ্র ব্যবহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি মনে করে রুয়ার মতো করে রাকসু দখল করে নেব এই রকম পরিকল্পনা থাকলে আমরা বলবে দয়া করে আপনাদের চোখে পানির ঝাপটা দিন। শতশত শিক্ষার্থী জীবন দিয়ে দেবে তবুও ষড়যন্ত্রমূলক রাকসু হতে দেবে না। 

এসময় সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ছাত্রদলের সাথে না বসেই রাকসু তফশিল ঘোষণা করলেন। আমরা বলতে চাই আপনারা ছাত্রদের নিয়ে বসুন। ছাত্রদলের সাথে না বসে তফসিল ঘোষণা ঠিক হয়নি আপনাদের। আপনি এক ঘেয়েমি করবেন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকতে পারবেন না। 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা আনন্দ মিছিল বের করেন। সেখানে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও মহানগর শাখার নেতাকর্মীসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

জুবায়ের জিসান/এমএএস