ইবিতে সাজিদ হত্যার ঘটনায় মামলা, খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার ঘটনায় ইবি থানায় মামলা করেছেন তার বাবা আহসান হাবিবুল্লাহ। সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, আজ সাজিদের বাবা বাদী হয়ে ইবি থানায় মামলা করেছেন। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সোমবার সাজিদ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসন ভবন অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইবি শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া এবং অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি উপাচার্যের সঠিক তদন্তের আশ্বাসে দুপুর ১টার দিকে স্থগিত করা হয়। এ সময় উপাচার্য তদন্তের ভার পিবিআইকে হস্তান্তর করাসহ ক্যাম্পাসের সার্বিক বিষয়ে সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা এবং সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী কাজ করা হবে জানান। কর্মসূচিতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়িনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদকে নির্মমভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা কোনো টালবাহানা শুনবো না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাজিদের হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, সাজিদ হত্যার বিচার অবশ্যই করা হবে। এর জন্য মামলাসহ উচ্চতর তদন্তে যা করা প্রয়োজন প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে। আমরা সাজিদ হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে শতভাগ কাজ করে যাব।
প্রসঙ্গত, সাজিদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি কমিটি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে ২১ জুলাই প্রকাশিত ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে মৃত্যুর আনুমানিক সময় উল্লেখ থাকলেও মৃত্যুর ধরণ ও কারণ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি। ফলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য।
রোববার (৩ আগস্ট) ভিসেরা রিপোর্টে সাজিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্বাক্ষরকারী মেডিকেল অফিসারও এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
রাকিব হোসেন/আরএআর