রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দফা দাবিতে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অপরদিকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের বিরোধিতা করে এবং শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রশাসন ভবনের সামনে কর্মবিরতি পালন করেন। আর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম রেজা বলেন, পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে বহু আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি উপাচার্যেরও এখতিয়ার নেই এটি পুনর্বহাল করার। যারা পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই পুরোনো বোতলে নতুন মদ বাজারজাত করার পাঁয়তারা কোনোভাবেই সফল হবে না।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজিব বলেন, পোষ্য কোটা নিয়ে বিতর্কের আর কোনো অবকাশ নেই। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই অন্যায় দাবি রাকসু নির্বাচন বানচালের অংশ কিনা, তা ভেবে দেখার বিষয়। বহু আগেই এর নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই যারা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনতে চাইছেন, তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবেই। সামনে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করবে।

অপরদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে কর্মকর্তা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আজকের ধর্মঘট আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বহু বছর ধরে পাওয়া প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার। সেই অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। কেউ যদি মনে করে আমাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করা যাবে, তবে তারা আসলে ভুল ধারণায় আছেন। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

জুবায়ের জিসান/আরএআর