রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের বাসা থেকে দুই ভরি সোনার গয়না, দুটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মতিহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

চুরির ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে। ঘটনাস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন শিক্ষক আবাসিক কোয়ার্টারের পি-৩৪ নম্বর বাসা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি তার দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে রাজশাহী অঞ্চলে হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। সেই সুযোগে অজ্ঞাতনামা চোর বাসার গেটের গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সে সময় ড. সাবিনা ইয়াসমিন ও তার দুই মেয়ে বাসার দ্বিতীয় তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন।

চোরেরা বাসার নিচতলা থেকে দুটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন, আনুমানিক দুই ভরি সোনার গয়না, নগদ ৫০ হাজার টাকা, কাপড়চোপড়, স্কুলব্যাগসহ মূল্যবান আরও কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় চোরেরা বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো করে রেখে যায় এবং একটি স্ক্রু ড্রাইভার ফেলে যায়, যা পুলিশ পরে উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রাত দেড়টার দিকে বাসার তালা ভেঙে চোর ঢুকে পড়ে। তারা আমার আইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ অনেক কিছু নিয়ে গেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, আমরা বাসার ভেতরে ঘুমিয়ে থাকাকালীন এ ঘটনা ঘটেছে। এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য ভয়ংকর ইঙ্গিত দেয়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বারবার এমন চুরির ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হয়, তাহলে শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টারে থাকার যৌক্তিকতা কোথায়?

ঘটনার বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, সকালে শিক্ষক ড. সাবিনা ইয়াসমিন আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পুলিশকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আশা করছি, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করা যাবে।

জুবায়ের জিসান/এআরবি