“আগামী নির্বাচনের পর কোনো ‘শিবিরের বাচ্চা’কে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না” জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়ালের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, রবিউলের মন্তব্য আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থি। 

তারা অভিযোগ করেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দমন করার নোংরা অপচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুপন্তি রত্নাও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের প্রতিফলন।

শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তার জায়গা সেখানে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তারা রবিউল আউয়ালের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘নারী নিপীড়নের’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা সেই কালচার আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। যাদের বাপ-দাদারা ১৯৭১ সালে এ দেশে পরাজিত হয়েছে, মাথা নত করে পালিয়ে গেছে। আমরা আশাবাদী- সামনের নির্বাচনের পরে তারাও লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবে। এ দেশের মাটিতে আর কোনো পাকিস্তানি কায়েম হতে দেব না। কোনো রাজাকারের বাচ্চাকে স্টাবলিশ হতে দেব না। কোনো শিবিরের বাচ্চাকে এ দেশে রাজনীতি করতে দেব না।

এমএল/বিআরইউ