চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের গঠনতন্ত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে কেন্দ্র থেকে চারটি সহ-সম্পাদকের পদ বাদ দিয়ে চারটি নতুন মূল পদ যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হল সংসদ থেকেও সব সহ-সম্পাদকের পদ বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর প্রণয়ন কমিটি পরিবর্তন-পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে সংশোধিত গঠনতন্ত্র আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

ড. কামাল উদ্দিন জানান, সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংসদে সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সহ-সম্পাদকের পরিবর্তে দুটি আলাদা সম্পাদক পদ রাখা হয়েছে— সমাজসেবা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া, সহ-সম্পাদকের জায়গায় আরও তিনটি নতুন পদ যুক্ত করা হয়েছে— পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তবে, নতুন পদ যোগ হলেও মোট আসনের সংখ্যা অপরিবর্তিত থেকে ২৮টিই থাকবে।

এ ছাড়া, হল সংসদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে সহ-সম্পাদকের কোনো পদ রাখা হয়নি। নতুন কাঠামোয় থাকছে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, খেলাধুলা সম্পাদক, সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, রিডিংরুম-ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক এবং পাঁচজন নির্বাহী সদস্য।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চার বছর পর, ১৯৭০ সালে প্রথম চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে।

আতিকুর রহমান/এমজে