চাকসুতে সংরক্ষিত আসনের দাবি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসহ চার দফা দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে এই দাবি জানায় একদল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অনেকদিন ধরে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক চাকসু গঠনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। চাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের সময় থেকে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে এবং প্রতিবারই কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে গত ২৮ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল এবং ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন আচরণবিধি প্রকাশিত হওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসহ তাদের চার দফা দাবি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পুরোদমে চললেও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। এটি শুধু তাদের প্রত্যাশাকেই আঘাত করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৃহৎ অংশের শিক্ষার্থীদের অধিকারকে অস্বীকার করেছে।
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা প্রশাসনকে জানাতে চাই, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। এই কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে বা কোনো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে, তার সকল দায়ভার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো–
চাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে একটি সম্পাদকীয় আসন এবং একটি সদস্য আসন সংরক্ষণ করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে; চাকসুর প্রতিটি হল সংসদে অন্তত একটি আসন সংরক্ষণ করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
চাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনি আচরণবিধি যৌক্তিক শিথিলযোগ্য করতে হবে এবং চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতি, হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য প্রবেশগম্যতা এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য দোভাষীসহ বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আতিকুর রহমান/এমএসএ