ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে নিজেদের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সর্বশেষ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। একইসঙ্গে তিনি এ কথাও বলেছেন, ডাকসু নিয়ে নানা অসংগতি পরিলক্ষিত হলেও আমরা সুন্দরভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। 

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে দেখা করে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা, ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিমসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা।

আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চার চেষ্টা করে গিয়েছি। যার ফলে ডাকসু নিয়ে নানা অসংগতি পরিলক্ষিত হলেও আমরা সুন্দরভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। আমরা চাইলে এটা নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতাম।”

তিনি বলেন, “আজ আমরা ভিসি স্যার ও নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করে আমাদের কনসার্নের বিষয়ে জানিয়েছি। এখানে নীলক্ষেতে ব্যালট পাওয়া গেছে। আমরা সে বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “ভোট কাস্টিং লিস্ট প্রকাশে তাদের গড়িমসি আমাদের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা প্রাইভেসির দোহাই দিয়ে এটি প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।” 

উমামা ফাতেমা বলেন, “ডাকসুর মাধ্যমে সবার মধ্যে একটা ভালো প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারপরও সকল প্রার্থী কিছু বিষয়ে কনসার্ন জানিয়ে আসছে। আজ আমরা ভিসি স্যারের সাথে দেখা করে ব্যালট পেপার ছাপা, ভোটার তালিকা প্রকাশ, কিছু হলে অতিরিক্ত ভোট কাস্টিং এসব বিষয়ে আমরা কনসার্ন জানিয়েছি।”

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন উদোর পিন্ডি বুধোর গায়ে চাপিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচনের ব্যালট পেপার নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে পাওয়া গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না। আমরা দ্রুত এসব বিষয় খোলাসা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এসএআর/এনএফ