জাগো বাহে কোনঠে সবাই, আইসো মিলে তিস্তা বাঁচাই
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ভারত যদি বন্ধু হও পানির ন্যায্য হিস্যা দাও, তিস্তা পাড়ের কান্না, আর না আর না, উত্তরের এই বৈষম্য, মানি না মানবো না, জাগো বাহে কোনঠে সবাই, আইসো মিলে তিস্তা বাঁচাই, দাবি মোদের একটাই, তিস্তার পানির হিস্যা চাই, সবার প্রাপ্য সবায় পায়, হামার বেলায় বাজেট নাই, ইত্যাদি প্লেকার্ড দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে চাকসু জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দ্রুত রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে জনবল প্রয়োজন, সেই সকল জনবল আমাদের বাংলাদেশ থেকেই নিতে হবে এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে করা বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে। ভারত বাংলাদেশের মানবতার শত্রু। ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের শত্রু। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত যেসকল বাধ দিয়েছে, সেগুলো বাধ ভেঙে পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ বলেন, আমাদের তিস্তার পাড়ের জনগণের বছরের পর বছর নদী ভেঙে সর্বনাশ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কারণ তারা ভারতের তাবেদারি করেছে। আমরা এই তাবেদারি আর করতে দেব না। এই ভারত আমাদেরকে সবসময় দমিয়ে রাখতে চেয়েছে। আমরা এসব আর হতে দেব না।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও চবির গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুক্তাদির রহমান মুনিম বলেন, তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শুধু উত্তরবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবে এমনটা নয়; বরং এর মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশ একটি কৃষি বিপ্লব করা সম্ভব হবে। ফলে পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে, উপকৃত হবে বাংলাদেশের মানুষ। সরকারের কাছে দাবি, খুব দ্রুতই তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হোক।
আতিকুর রহমান/এমএএস