ভর্তিচ্ছুদের হয়রানি রোধে ঢাবি প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ ব্যাচে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় হয়রানি রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ২০২৩-২৪ সেশনের একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাবির প্রশাসনিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত একযুগেরও বেশি সময় ধরে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমরা আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া প্রত্যক্ষ করতে পারিনি। ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি এবং হয়রানি নিয়ে প্রশাসনের নীরবতা আমাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রতিবছর আমরা লক্ষ্য করি, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীরা ভর্তি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে বিভ্রান্তি, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট, আবাসন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা ও আর্থিক লেনদেনের জটিলতা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হন।
এ প্রসঙ্গে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েকটি দাবি পেশ করেন। সেগুলো হলো:
১. ভাইভা ব্যতীত পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করা।
২. প্রতিটি ফাঁকা সিটের বিপরীতে দ্রুত মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
৩. ক্লাস শুরুর আগেই সকল শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪. ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা (যেমন: কোথায় যেতে হবে, কী করতে হবে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম থেকে টিউটোরিয়াল আকারে প্রকাশ করা।
৫. ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ক্যাম্পাসে কার্যকরী অফিসিয়াল সহায়তা বুথ স্থাপন করা।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি লাইভ হেল্প চ্যাট বা হেল্পলাইন চালু করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা পেতে পারে।
৭. কিছু ক্ষেত্রে নবাগত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদেরকে কর্মচারীদের মাধ্যমে হয়রানি এবং দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হচ্ছে। কর্মচারীদের সাহেবানা মনোভাব পরিত্যাগপূর্বক সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করা।
বিজ্ঞাপন
স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য সাদিক মুনেম বলেন, ‘প্রশাসনের সদিচ্ছা আছে কিন্তু কিভাবে কী করলে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী হবে এটা ওনারা কিছু ক্ষেত্রে ধরতে পারেন না। ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সিট বণ্টন সামগ্রিক ভর্তি প্রক্রিয়ার একটি রোড ম্যাপ আমরা প্রশাসনকে দিয়েছি। আমরা চাই সকল শিক্ষার্থী যেন বিনা ভোগান্তিতে এক প্রহরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারে।’
ডাকসু কার্যকরী সদস্য আনাস ইবনে মুনির বলেন, ‘প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে ডাকসু সকল ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত। হয়রানি ও ভোগান্তি শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণের শামিল।’
এসএআর/এনএফ