প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গান গেয়ে মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে মিছিলটি বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আদৃতা রায় বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে একটি মুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা। সংস্কৃতির দমন মানে জাতির আত্মাকে আঘাত করা এবং আজ এই বাস্তবতা রোধে রাষ্ট্র, সমাজ ও নাগরিকদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, একইসাথে এই গানের মিছিল থেকে আমরা বিশ্বের সকল নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আহ্বান করছি। আমরা ফিলিস্তিন ও সুদানে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান করছি, বিশ্বকে এক হয়ে দুনিয়ার সকল নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানই আজকের আমাদের লক্ষ্য।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী লামিশা জামান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিংবা কাদের মদদে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আমরা আসলে জানি না। আমরা দেখেছি গত জুলাইয়ের পর থেকে আমাদের প্রতিটি সংস্কৃতির ওপরে আঘাত এসেছে। আমাদের প্রতিটি সংস্কৃতির ওপরে মৌলবাদীদের যেই আঘাত সেটি কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশ্রয় দিয়েছে, তাদের ওপরে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তা আমাদের জন্য খুবই চিন্তার একটি বিষয়।  আমাদের সন্তানরা স্কুল-কলেজে শুধু এ বি সি ডি কিংবা অ আ শিখতে যাবে না। সংস্কৃতির সাথে মিশে থাকা, শারীরিক শিক্ষার সাথে মিশে থাকা তাদের একটি অংশ ছিল।

তিনি আরও বলেন, যতবারই আমাদের সংস্কৃতির ওপর আঘাত করা হবে ততবারই আমরা আমাদের গান এবং সংস্কৃতি নিয়ে আসবো।

এছাড়াও প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দুর্বার আদি, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আনিকা তাবাসসুম ফারাবী বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএআর