একটা ছাত্রসংগঠনের নেতারা ঈদেও বাড়ি যায় না : বাগছাস নেতা মুরাদ
জাতীয় ছাত্রশক্তি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেছেন, আমরা সবাই জানি শিবিরের নেতাকর্মীরা ঈদেও বাড়ি যাওয়ার পার্মিশন পায় না৷ তাদের ছুটি দেওয়া হয় না। ডিসেম্বরের ২২ তারিখ জকসু নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়ে নির্বাচন কমিশন শিবিরকেই সুবিধা দিয়েছে। কারণ ওই সময়ে পরীক্ষা শেষ করে সব শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে যাবে আর সে সময় শিবিরের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে থাকবে। ছাত্রশিবিরকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে ছাত্র অধিকার ও ছাত্রশক্তি আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, এ তফসিল ঘোষণাকে আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে এ তফসিল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দাবি, ২২ তারিখ বাতিল করে নির্বাচন বাতিল করে এটা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবিতে তারা তিনটি দাবি জানান, ২২ ডিসেম্বরের ঘোষিত তারিখ বাতিল করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে (সোম/মঙ্গল) নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে, সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে এবং কমিশনের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে জকসুর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। এদিন নির্বাচন কমিশন আগামী ২২ ডিসেম্বর সোমবার জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান। এ কে এম রাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও নানাবিধ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমরা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে। এবং একই দিনে ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করা হবে।
তফসিল ঘোষণা করে অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান তফসিল বিবরণীতে বলেন, আজ ৫ নভেম্বর বুধবার আচারণ বিধিমালা প্রকাশ করা হবে। ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ৯ ও ১১ নভেম্বর। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ বুধবার ১২ নভেম্বর , এছাড়া ১৩ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর মনোনয়ন বিতরণ চলবে। এবং ১৭ ও ১৮ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। মনোনয়ন পত্র বাছাই করে ১৯ ও ২০ নভেম্বর সম্পন্ন করে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ নভেম্বর রবিবার। পরবর্তীতে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ২৪ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর। এছাড়া প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে ২৭ ও ৩০ নভেম্বর। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর বুধবার। এরপর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাখ্যানকৃত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৯ ডিসেম্বর। এবং প্রার্থীদের প্রচারণা ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর। সবশেষে ভোট গ্রহণ ও ফল ঘোষণা করা হবে ২২ ডিসেম্বর।
এমএল/এমএন