জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্বাচনের ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগ জানিয়েছে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তফসিল পুনর্বিবেচনা করে নির্বাচনের তারিখ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে এগিয়ে এনে এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। এ সময় এক লিখিত বক্তব্যে এসব বলেন শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি খাদিজাতুল কুবরা।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ছাত্রদের ব্যাপক আন্দোলনের ফসল হিসেবে জকসুর নীতিমালা পাশ হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনের ঘোষিত তফসিল দেখে উদ্বেগের সঙ্গে আমাদের বলতে হয় যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনের ব্যাপারে উদাসীন।

তিনি বলেন, গতকাল ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই হবে না। ডিসেম্বর মাস বছরের শেষ সময়-যখন শিক্ষার্থীরা সারাবছরের একাডেমিক চাপ ও টিউশন শেষে বাড়ি ফিরে যায়। এমন সময়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন না। একইসঙ্গে ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে বলে বিশিষ্টজনেরা আশঙ্কা করছেন। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করে, তাহলে জকসু নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে তফসিল পুনর্বিবেচনা করে নির্বাচনের তারিখ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে এগিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে, নির্বাচনের সময় ভোটার ও প্রার্থীদের সুবিধার্থে এবং সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব বলেন, সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্য নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার এবং প্রয়োজনে ভোট গ্রহণের আগে এক সপ্তাহ আগে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের দাবি আমরা জানাচ্ছি। এমন এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। সেই সমস্ত জায়গা থেকে সময় বাড়িয়ে বা কমিয়ে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট দূর্বলতার পরিচয় দিচ্ছে। সর্বদলীয় বৈঠকে তাদের যে ভূমিকা সেটা আমাদের মনোঃপূত হয়নি। একটা বড় ছাত্র সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের যে শক্তি বা সামর্থ্য প্রদর্শনের প্রয়োজন ছিল। সেটা তারা করতে পারেনি। ফলে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা রুখতে হলে নির্বাচন কমিশনকে শক্ত অবস্থান প্রদর্শন করতে হবে।

এ সময় শাখা ছাত্রফন্টের দপ্তর সম্পাদক তোকির আহমেদসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) জকসুর  নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২২ ডিসেম্বর জকসুু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়।

এমএল/বিআরইউ