শাবিপ্রবির পাঁচ শিক্ষক পেলেন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড
গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ১৩তম বার্ষিক ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।
বিজ্ঞাপন
‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদ থেকে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. পাবেল শাহরিয়ার, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদ থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এগ্রিকালচার অ্যান্ড মিনারেল সায়েন্সেস অনুষদ থেকে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক স্বপন কুমার সরকার এবং এপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ থেকে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কী-নোট বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপানের কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভিশন অব হেলথকেয়ার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম মারুফ। স্বাগত বক্তব্য দেন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
বিজ্ঞাপন
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, গবেষণায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। সিনিয়র ও জুনিয়র গবেষকদের একসঙ্গে কাজের সুযোগ তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাবিপ্রবিতে গবেষণার যে ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
জুবায়েদুল হক রবিন/এআরবি