জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো সুচিন্তার জঙ্গিবাদবিরোধী সেমিনার।

সাময়িক বিরতির পর রোববার (৯ জানুয়ারি) জবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুচিন্তার’ ‘জাগো তারুণ্য, রুখো জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক কার্যক্রমটি। করোনা পরিস্থিতির কারণে কার্যক্রমটি ক্যাম্পাসে বন্ধ থাকলেও ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সচল ছিল।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, রাজনীতিবিদ প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য অ্যাড. নাসরিন সিদ্দিকা লিনা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম আক্তার হোসেন প্রমুখ।  

প্রকাশক ফরিদ আহমদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদেরকে জানতে হবে নিজের পরিচয়, দেশ ও রাজনীতির সঠিক ইতিহাস। যারা হামলা করে তারা মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বইও পড়ে না, মুনতাসির মামুনের বইও পড়ে না। অথচ তাদের বলা হয় তারা ধর্মবিরোধী। 

প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে হলি আর্টিজন থেকে শুরু করে পরবর্তী সব জঙ্গিবাদী ঘটনার উৎপত্তি। এই বাংলাদেশকে কেউ পিছিয়ে দিতে পারবে না। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এগিয়ে নিতে হবে। আর তরুণরাই এগিয়ে নেবে বর্তমানকে আগামীর পথে। 

অ্যাড. নাসরিন সিদ্দিকা লিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজকে বাংলাদেশে জঙ্গিদের বিচার হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাড. সাহারা খাতুনের অবদানের কথাও তুলে ধরেন।

ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ জঙ্গিমুক্ত ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত হোক। ছাত্রলীগের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। চাই প্রতিটি ক্যাম্পাসে তরুণরা জঙ্গিবাদকে ‘না’ বলবে।

পরিশেষে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে ‘জঙ্গিবাদ’ বিষয়ে তাদের মতামত নেওয়া হয়। পর্বটি পরিচালনা করেন আশরাফুল আলম।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আজ সারাবেলার সম্পাদক জব্বার হোসেন। 

জেডএস