রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। ঘাট এলাকায় ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এ চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এসব পণ্যবাহী ট্রাক রাত থেকে ফেরি পারের জন্য মহাসড়কে অপেক্ষা করছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালকদের। এছাড়াও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ডাকাতির ঘটনার পর থেকে  ট্রাকচালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আজিজুল ইসলাম নামে এক ট্রাকচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে ফেরিঘাটে এসে আটকে আছি। এখনো ফেরিঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে আছি। কখন ফেরির দেখা পাব বলতে পারছি না। 

তিনি আরও বলেন, কিছু দিন আগে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পণ্যবাহী কয়েকটি ট্রাকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকেই আমাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা ট্রাকচালকরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ট্রাকচালক হায়দার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট মানেই ভোগান্তি। কখনো ভোগান্তি ছাড়া এ ঘাট পার হতে পারিনি। এ রুটে আসলেই ১-২ দিন ফেরির জন্য মহাসড়কে আটকে থাকতে হয়। কর্তৃপক্ষ পচনশীল গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসগুলোকে পার করে বিধায় আমাদের মতন অপচনশীল গাড়িগুলোকে দিনের পর দিন মহাসড়কে অপেক্ষা করতে হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে আসা ট্রাকগুলো এখন মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের কোনো সারি নেই। বিকেল নাগাদ পণ্যবাহী ট্রাকের সারিও আর থাকবে না। বর্তমানে এই রুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

মীর সামসুজ্জামান/এসপি