শারীরিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও মরদেহ উদ্ধার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম মাহাবুবুল আলম বিস্কুট (৪৫)। তিনি রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আয়নুল হকের ছেলে।

নিহত ওই প্রতিবন্ধী নারীর নাম লাভলী খাতুন (৩১)। তিনি রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের মেয়ে।

রোববার (২০ মার্চ) বেলা ২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে জিরাবো পশ্চিম পাড়া বায়তুন জামে মসজিদ এলাকায় থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় ওই প্রতিবন্ধী নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী লাভলী খাতুন বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। চার দিনেও লাভলী খাতুনের খোঁজ না পেয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাণীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড় ভাই। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে উপজেলার ভবাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মাহবুবুল আলমকে পুলিশ নাটোর জেলার হালতি-খোলাবাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে গত শনিবার বিকেলে ঢাকার আশুলিয়া থেকে লাভলী খাতুনের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আবদুল মান্নান বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুবুল আলম জানায় লাভলী খাতুনের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেম ছিল।

এ ঘটনায় মাহবুবুল আলমকে আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দির জন্য হাজির করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মো. দেলোয়ার হোসেন/এনএ