অভিযুক্ত হাসিবুল হক সানা

পাবনার সাঁথিয়ায় সরকারি কাজে বাধা, চাঁদা দাবি ও থানার মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজারকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হক সানার বিরুদ্ধে ফের চাঁদাবাজি ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রায়হান হোসেন হৃদয় নামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সাঁথিয়া থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রায়হান হোসেন হৃদয় উপজেলার কোনাবাড়ীয়া গ্রামের জব্বার প্রামাণিকের ছেলে। বর্তমানে তিনি সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  

আভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে রায়হান হোসেন হৃদয় বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে থানার সামনে রূপালী ব্যাংকের কাছে আসলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হক সানা তাকে জোর করে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে ব্যাংকের ছাদের ওপর নিয়ে যান। সেখানে অস্ত্র দেখিয়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। 

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার  সহযোগী কোনাবাড়িয়া গ্রামের মিল্টনের ছেলে তালহা সানার হুকুমে রায়হানকে মারধর করেন ও স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেন। এ সময় রায়হানের পকেটে থাকা সাড়ে তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন সানা। পরে চাঁদা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান সানা ও তার সহযোগী তালহা। 
স্বজনরা খবর পেয়ে রায়হানকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় রায়হান নিজেই বাদী হয়ে হাসিবুল হক সানা ও তালহাকে আসামি করে সন্ধ্যায় সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সানার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোজাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উল্লেখ্য, সাঁথিয়া উপজেলায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি সড়কের কাজ চলাকালে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করেন হাসিবুল হক সানা। গত বছরের ২৯ আগস্ট চাঁদার টাকা না পেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজারকে মারধর করেন তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে হাসিবুল হক খান সানাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর