শপথ নিতে যাওয়ার পথে কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলা
আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরের একটি গাড়ি
শপথ নিতে যাওয়ার পথে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় সেলিম (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পৌর মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সেলিম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এ ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীকে দায়ী করেছেন আবদুল কাদের মির্জা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, একরাম চৌধুরী এতো দাপট দেখিয়ে চলে। তারা আমাদের ওপর হামলা করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দেশে কি সরকার নেই, এ দেশে কি প্রশাসন নেই। আজকে আমাদের এলাকার কি কোনো অভিভাবক নেই। কেউ কি প্রতিবাদ করার নেই। আমরা এই এলাকার জনগণ যাকে মন্ত্রী বানিয়েছি সেই মন্ত্রীর কাজ কী। সেই মন্ত্রী অপশক্তির কাছে আজকে মাথা নত করেছে।
কাদের মির্জা আরও বলেন, যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ির গতিরোধ করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি একটি ট্রাক থাকার কারণে আমার গাড়িটি দ্রুত চলে আসছে। আমার গাড়িতে কিছু করতে পারেনি। আমার পরে ১০-১২টি গাড়ি ছিল, সেগুলোর ওপর ইট-পাটকেল, ডিম মারা হয়েছে। সেলিম নামে আমাদের একজন নেতা আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমি শপথ নিয়ে এলাকায় ফিরে গিয়ে একমাস আর মানবো না। অনতিবিলম্বে এদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে, নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে, নোয়াখালী-ফেনীর ভোট চুরির বিরুদ্ধে, এখানে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
কাদের মির্জা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাগুলোর সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। না হলে আপনার সকল অর্জন এরা ধ্বংস করবে। এদেরকে কারা আজকে শেল্টার দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিন। তাদেরকে চিহ্নিত করেন। সে যত বড় নেতা হোক, যত বড় মন্ত্রী হোক তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন।
দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমদ জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভায় চতুর্থবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। নির্বাচনে প্রচারণার সময় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা।
হাসিব আল-আমিন/আরএআর