শেরপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫০০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি
শেরপুরে হঠাৎ বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে এসে ভর্তি করাচ্ছেন অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেরপুর সদর হাসপাতালে দেখা গেছে এমন চিত্র। সকাল থেকেই সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা অভিভাবকরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগী নিয়ে ভিড় জমান জরুরি বিভাগের সামনে।
শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কথা হয় লছমনপুর ইউনিয়নের আরশাদ আলীর (৫০) সঙ্গে, তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, হঠাৎ করেই নাতিটা সাত-আটবার পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু করে দুর্বল হয়ে পড়ে। অবস্থা খারাপ দেখে তাড়াতাড়ি হাসাপাতালে ভর্তি করাই। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সামনে কথা হয় বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে মেয়েটা অনবরত পাতলা পায়খানা করছে। শরীর দুর্বল দেখে গতকাল রাতে শেরপুর সদর হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করাই।
বিজ্ঞাপন
শেরপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স ফাতেমা ঢাকা পোস্টকে জানান, তীব্র শীতে অন্য রোগের পাশাপাশি শিশুদের শীতজনিত ডায়রিয়া হয়। প্রচুর শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সঠিক সেবা দেওয়ার। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
শেরপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক সপ্তাহ থেকে আজ পর্যন্ত হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
বিজ্ঞাপন
ডা. খাইরুল কবীর আরও বলেন, শীতজনিত ডায়রিয়া বা কোল্ড ডায়রিয়ার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না। সাধারণত মুখে খাওয়ার স্যালাইন ও জিংক খাওয়ালেই চলে। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে শুধু মায়ের বুকের দুধ ও অল্প অল্প খাওয়ার স্যালাইন খেতে দিতে হবে। এতেই ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়, অন্য কোনো ওষুধ দেওয়া লাগে না। ডায়রিয়া সেরে যেতে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগে।
জাহিদুল খান সৌরভ/এনএ