আবদুল কাদের মির্জার বহরের একটি গাড়ির কাঁচ হামলায় ভেঙে যায়/ ছবি ঢাকা পোস্ট

শপথ নিতে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে ফেনীর দাগনভূঞায় হামলার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে আবারও আক্রান্ত হয়েছে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহর। দ্বিতীয়বারের মতো নোয়াখালীর বসুরহাটের এই মেয়রের গাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। এতে কেউ হতাহতও হননি। তবে বহরের একটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে।

এর আগে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মেয়রের শপথ গ্রহণ শেষ করেছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় সি প্লাস টিভির লাইভ সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় দিনে দ্বিতীয়বারের মতো গাড়িবহরে হামলা করা হয়।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শপথ গ্রহণ করছেন আবদুল কাদের মির্জা/ ছবি ঢাকা পোস্ট

তিনি বলেন, ‘যারা সকালে হামলা চালিয়েছে তারাই এখন চট্রগ্রামে হামলা চালিয়েছে। তারা যতোই হামলা করুক আমি সত্য কথা বলা থেকে নিবৃত্ত হব না।’

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শপথ নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে ভোর সাড়ে ৬টায় দাগনভূঞা জিরোপয়েন্টে দুর্বৃত্তরা আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলায় সেলিম (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়েছেন।

আহত সেলিম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এ ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীকে দায়ী করেছেন আবদুল কাদের মির্জা। 

অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় এক টিভির সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হামলা চালানো হয়/ ছবি ঢাকা পোস্ট

তিনি বলেন, ‘একরাম চৌধুরী এতো দাপট দেখিয়ে চলে। তারা আমাদের ওপর হামলা করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দেশে কি সরকার নেই, প্রশাসন নেই। আজকে আমাদের এলাকার কি কোনো অভিভাবক নেই। কেউ কি প্রতিবাদ করার নেই। আমরা এই এলাকার জনগণ যাকে মন্ত্রী বানিয়েছি সেই মন্ত্রীর কাজ কী। সেই মন্ত্রী অপশক্তির কাছে আজকে মাথা নত করেছে।’

দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটের টুকরা/ ছবি ঢাকা পোস্ট

কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ির গতিরোধ করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি একটি ট্রাক থাকার কারণে আমার গাড়িটি দ্রুত চলে আসছে। আমার গাড়িতে কিছু করতে পারেনি। আমার পরে ১০-১২টি গাড়ি ছিল, সেগুলোর ওপর ইট-পাটকেল, ডিম মারা হয়েছে। সেলিম নামে আমাদের একজন নেতা আহত হয়েছেন।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাগুলোর সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। না হলে আপনার সকল অর্জন এরা ধ্বংস করবে। এদেরকে কারা আজকে শেল্টার দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিন। তাদেরকে চিহ্নিত করেন। সে যত বড় নেতা হোক, যত বড় মন্ত্রী হোক তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন।’

দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমদ জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভায় চতুর্থবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। নির্বাচনে প্রচারণার সময় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন তিনি। 

হাসিব আল আমিন/এমএসআর