ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় ধর্ষণ মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিকে গণধোলাই
বরগুনায় এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং ও অপহরণচেষ্টার অভিযোগে সোহেল (৩৮) নামের একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে বরগুনা পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোহেল বরগুনা পৌর শহরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় মামলা রয়েছে রয়েছে বলে জানা যায়। ওই মামলায় বর্তমানে সোহেল জামিন আছেন।
বিজ্ঞাপন
স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সোহেল স্কুলছাত্রীর বাসার কাছেই ভাড়া থাকত। এ সুবাদে সোহলে তাদের পরিচিত। গত মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) স্কুলে যাওয়ার পথে সোহেল জোর করে স্কুলছাত্রীকে রিকশায় তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর চাচাতো বোনকে দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে চাচাতো বোন অটোরিকশাচালকের সহায়তায় স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে আসে।
বিষয়টি বাসায় এসে মাকে জানালে স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর ও গণ্যমান্যদের জানান। তারা সবাই সোহেলকে হাতানাতে আটক করে পুলিশে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে বটতলায় দেখতে পেয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা-মাসহ এলাকার লোকজন সোহেলকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল করিম বাবু বলেন, সোহেল বখাটে ও মাদকাসক্ত। এর আগেও সে ইয়াবা বিক্রি ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। তিন মাস আগে ধর্ষণ মামলা থেকে জামিন পেয়ে আবারও নবম শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন গণধোলাই দিয়ে সোহেলকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমি এলাকার বাইরে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করি। আমার মেয়েকে সোহেল স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়েছি। স্থানীয়রা সোহেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোহেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে হয়েছে। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএ