রংপুরে একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন রুজিনা খাতুন (২৮) নামে এক নারী। তবে সদ্যজাত শিশুদের ওজন কম হওয়ায় এবং দেড় মাস আগে সিজার করায় তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরীর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের (অস্ত্রোপচার) মাধ্যমে ওই তিন শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েছে।

রুজিনা খাতুনের স্বামী গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা কুড়িগ্রাম জেলা আনসার ও ভিডিপির হিসাবরক্ষক। রুজিনা নিজেও আনসার ও ভিডিপির সদস্য। তারা দুজন লালমনিরহাট সদরের কুলাঘাট গ্রামে বসবাস করছেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ী গ্রামের বাঙ্গালপাড়ার ইয়াকুব আলী খন্দকারের মেয়ে রুজিনা খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা। বিয়ের পর স্ত্রীর হরমনজনিত সমস্যার কারণে গর্ভধারণ না হওয়ায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। দীর্ঘদিন পাঁচ বছর পর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন রুজিনা।

এবার একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম হওয়ায় খুশি গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা। তবে নবজাতকদের ওজন কম হওয়ায় শঙ্কিত পুরো পরিবার।

গোলাম মোস্তফা জানান, দ্বিতীয় বারের মতো তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রংপুরে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সোনালী রানী মুস্তফীর পরামর্শে প্রথমে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। পরে কয়েকবার নিয়মিত চেকআপে দুটি ছেলে সন্তানের কথা জানা গেলেও অন্যটি অজানা ছিল। 

আজ (বুধবার) দুপুরে অস্ত্রোপচারের (সিজার) মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী রুজিনা খাতুন।

প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সোনালী রানী মুস্তফীর জানান, বুধবার দুপুরে গর্ভবতী রুজিনা খাতুনের অস্ত্রোপচার করেন। হরমনজনিত কারণে প্রথম সন্তান হওয়ার আগেও তার চিকিৎসা তিনি করেছেন। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার আগে এবং পরেও তিনি তাকে দেখেছেন। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পাশাপাশি সবসময় পরামর্শ দিয়েছেন। 

তিনি আরও জানান, গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় দশ মাস পূর্ণ হবার দেড় মাস বাকি থাকতেই বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিজার করা হয়। রুজিনা একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বর্তমানে নবজাতকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।  

এদিকে গত ২২ মার্চ রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেন কুড়িগ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের স্ত্রী আদুরী বেগম আশা। বিয়ের আট বছর পর এবারই প্রথম বাঁধন-আশা দম্পতির কোলজুড়ে একসঙ্গে এসেছিল চার সন্তান। এর মধ্যে এক ছেলে ও তিন কন্যাশিশু ছিল। বর্তমানে জীবিত একমাত্র কন্যাশিশুর চিকিৎসা চলছে। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই