মুজিবশতবর্ষে 'বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না' মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর ৯ উপজেলার গৃহহীন ও হতদরিদ্র ৯ পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। 

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গৃহনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক থানায় একটি হতদরিদ্র পরিবারকে নূন্যতম এক কাঠা জমি ক্রয় করে আনুমানিক ৪১৫ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেট বিশিষ্ট একটি গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার কাজ শেষ হয়। আগামী ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত প্রকল্পের আওতায় নির্মিত জমিসহ ঘরগুলো উপকারভোগীর কাছে হস্তান্তর করবেন। 

উপকারভোগীরা হলেন, সুধারাম মডেল থানা এলাকার মৃত আ. মমিনের স্ত্রী বিবি আয়েশা (৪৯), হাতিয়া থানা এলাকার মৃত মো. মোস্তফার ছেলে মো. জামাল উদ্দিন (৬০), কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী নূর জাহান (৩৭), বেগমগঞ্জ মডেল থানা এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী বুলবুল পেয়ারা (৫৭), সেনবাগ থানা এলাকার মৃত বসু মিয়ার মেয়ে আশ্ববীর নেছা (৫৪), চাটখিল থানা এলাকার অজি উল্লাহর ছেলে জসিম উদ্দিন (৪৭), সোনাইমুড়ী থানা এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮), চরজব্বর থানা এলালার স্বামী পরিত্যক্তা সখিনা খাতুন (৪৩) ও কবিরহাট থানা এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী কমলা খাতুন (৫৪)।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, মুজিবশতবর্ষে 'বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না' মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি অনেক মানবিক কাজ করে থাকে, অতীতেও করেছে, যা হয়তো এখন আরো বেশি দৃশ্যমান।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা জনগণের খুব পাশে যেতে চাই। যাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে তাদের অনেকেই বিধবা নারী। তারা ভিক্ষাবৃত্তি ও গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন।

হাসিব আল আমিন/এমএএস