ছুটি না নিয়েই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাবেক প্রক্টর ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রীতম কুমার দাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম রোস্তম আলীর খুবই বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত। ওই উপাচার্যের মেয়াদের প্রায় পুরোটা সময় অধ্যাপক প্রীতম প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক প্রীতমের বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়েই তিনি বিদেশ গিয়েছেন। এমনকি তিনি মন্ত্রণালয়ের সরকারি আদেশ (জিও) নেননি। এসব অভিযোগে চাকরিবিধি অনুযায়ী তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন উপাচার্য যোগ দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রেজিস্ট্রার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, দুর্নীতি-অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর আস্থাভাজন ছিলেন প্রীতম। প্রক্টরের দায়িত্ব পালনকালে তিনিও উপাচার্যের সহযোগিতায় অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, গবেষণা-প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংস্কার ও সৌন্দর্য্যবর্ধন বেঞ্চ নির্মাণে অর্থ আত্মসাৎ, বিজ্ঞাপন প্রদান কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে প্রায় কোটি টাকার হিসাবে অনিয়ম, নিজ বিভাগের ল্যাবরেটরির বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়মসহ নানা অভিযোগ রয়েছে সহযোগী অধ্যাপক প্রীতমের বিরুদ্ধে। এ সব বিষয়ে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে নতুন উপাচার্য যোগদানের আগেই কাউকে না জানিয়ে অতি গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন তিনি।

বিদেশে অবস্থান করায় অভিযুক্ত প্রীতম কুমার দাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলে যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার ঘনিষ্টজনরা জানান, উচ্চতর পড়াশোনার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন।

রাকিব হাসনাত/আরএইচ