রামগতির সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়
রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোট শুরু। কিন্তু পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের ১০টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় থাকবে ১০টি ভোট কেন্দ্র। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নের সব ধরনের প্রস্তুতির রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এই প্রথম লক্ষ্মীপুরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী পটু ৫টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেছেন। তিনি নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনকেও বিষয়টি জানান।
অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন মেজুকে জেতাতে সম্প্রতি জাতীয় পার্টি নেতা আজাদ উদ্দিন চৌধুরী ও বিএনপি নেতা আশ্রাফ আলী সারুকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। এ নিয়ে দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, নিজ দলের প্রার্থীকে জেতাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নেবেন। দু’দল নেতাকর্মীদের কেন্দ্র অনুযায়ী ভাগ করে দিয়েছেন। বহিরাগত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নির্বাচনী এলাকায় ১ প্লাটুন বিজিবি, ৭০ জন পুলিশ সদস্য, ৯০ জন আনসারসহ গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের বিশেষ টিম নিরাপত্তায় থাকবে। একইসঙ্গে ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। ভোটকেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধায়নে আইন-শৃৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রামগতি পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন। মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে মেজবাহ উদ্দিন মেজু, ধানের শীষে সাহেদ আলী পটুসহ ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ১০টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনে ৪৯ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের ১০ কেন্দ্রে এবার ২০ হাজার ৯০৫ জন ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রামগতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আমাদের কাছে প্রতিটি কেন্দ্রই সমান। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করেই প্রত্যেক কেন্দ্রে সমান নিরাপত্তা-ব্যবস্থা থাকবে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসআর