লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতার মামলায় বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর জামিন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল স্লোগানের প্রতিবাদ করায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জুমানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ রহিবুল ইসলামের আদালতে ওই আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম হাওলাদার ও আনোয়ার হোসেন মৃধা জানান, উচ্চ আদালতের দেওয়া ছয় সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে আসামিদের উপস্থিত করা হয়। আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে বাদীর মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) আদালতে দাখিল পর্যন্ত ১ থেকে ৬ নম্বর আসামির জামিন দেওয়া হয়। বাকি ৪০ জনকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।

এ সময় জামিনপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু আদালতে যান।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ এলাকায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে আসামিরা মিছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল স্লোগান দেয়। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। মিছিল থেকে তারা হামলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের খুঁজতে থাকে। মামলার বাদী জুমান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভয়ে উপজেলার তাজমহল সিনেমা হল এলাকার একটি দোকানে ঢুকে জুমান লুকানোর চেষ্টা করে। 

সেখান থেকে যুবদল নেতা আলমাসসহ আসামিদের কয়েকজন তাকে টেনে বের করে আনে। আসামিরা তাকে বেদম পেটায়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পিঠে আঘাত করে। এ সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে তার স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতে জুমান বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম আলমাস, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সফিক ভূঁইয়াসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এদিকে ঘটনায় ১ মার্চ উপজেলার বামনী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শান্ত বাদী হয়ে জেলা আদালতে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বাঙ্গালীসহ আওয়ামী লীগের ৩৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। আদালত বিষয়টি মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ