শ্বশুর ঈদের উপহার না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
প্রেমের সম্পর্ক। এরপর পারিবারিকভাবে বিয়ে। বিয়ের বয়স এখনো এক বছর হয়নি। বিয়ের পর প্রথম ঈদে জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু জামাই টাকার সঙ্গে ঈদ উপহারও চান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল মনোমালিন্য। সেই মনোমালিন্য রূপ নেই মৃত্যুতে। স্বামীর মারধরে মারা যায় স্ত্রী।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ কাফুরা গ্রামে বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি শেরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আটক স্বামী হলেন- শাকিল আহমেদ (২৫)। তিনি ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। আর নিহত মীম আক্তার (২১) একই গ্রামের মজনু মিয়া মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মীম ও শাকিলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরও হয়নি। তাই প্রথম ঈদে শাকিলকে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু টাকার সঙ্গে ঈদের উপহারও চেয়েছিলেন শাকিল। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এতে রাগ করে মীম সপ্তাহখানেক আগে বাবার বাড়ি চলে যান। দুদিন আগে শাকিল তাকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর আজ মীমকে মারধর করেন শাকিল। এতে মীম অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান।
বিজ্ঞাপন
ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মীমের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাকিলকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মীমের সঙ্গে তার স্বামীর মনোমালিন্য ছিল। তবে ঈদের উপহার নিয়ে যে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
চম্পক কুমার/এমএএস