আ.লীগ কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ কর্মীর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা
পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আমিরুল ইসলাম (২৮) নামে এক আওয়ামী লীগের কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করলে লাশবাহী করিমনসহ তারা বিক্ষোভ করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি তসলিম হাসান সুমন, আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি মাসুদ, নিহতের বাবা মন্তাজ ব্যাপারী, ভাই আল আমিন, স্ত্রী রিনা খাতুনসহ আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, বিক্ষোভে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। তার নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমিরুলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল প্রতিপক্ষের। রোববার হঠাৎ আমিরুল ইসলামকে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদের বিরোধ চলছিল। সুলতান মাহমুদের সমর্থক ছিলেন আমিরুল।
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুলতান মাহমুদ খান বলেন, আমিরুল দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে রাজনীতি করছেন। নিরীহ মানুষ ছিলেন আমিরুল। তার হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোবাবর রাত সোয়া ৮টার দিকে আতাইকান্দা বাজারে আমিরুলসহ তার সহযোগীরা আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ১০-১৫ জনের সশস্ত্র একদল যুবক আমিরুলকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালায়। তখন অন্যরা ভয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আমিরুল।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করা হয়নি। কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহত আমিরুল ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের মন্তাজ বেপারীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন তিনি।
রাকিব হাসনাত/এমএসআর