কোর্টপুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদার

কুষ্টিয়ায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কোর্টপুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদারকে ৩ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। 

মোস্তফা হাওলাদার কুষ্টিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সিনিয়র সিএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালের ১০ আগস্ট তিনি অবসরে যান। তিনি ভোলা সদর উপজেলার আলগী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি মোস্তফা হাওলাদারকে পেনাল কোডের ২১৮ ধারায় ভুল লিপি প্রণয়নের অপরাধে এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অসদাচরণ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাকে প্রথম ধারায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দ্বিতীয় দফায় ২ বছরের কারাদণ্ড ও ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৪ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। 

জানা গেছে, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদকের কুষ্টিয়ার সাবেক উপসহকারী পরিচালক শাহার আলী বাদী হয়ে ৬৩ হাজার ২০০ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলা দায়ের করেন। মামলায় কোর্টপুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদার ও কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার কার্যক্রম শুরু হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদার এবং অপর কোর্টপরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন দুদক। মামলা দায়েরের পর আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

আদালত এ মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি কায়মুদ্দিন খানকে খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কুষ্টিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিযুক্ত কৌঁসুলি আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু জানান, আদালত কোর্টপুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদারকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অপর কোর্টপুলিশের পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

রাজু আহমেদ/এমএসআর