দৌলতদিয়ায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ, নেই দুর্ভোগ
প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করে কর্মস্থলে ফেরা শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। ফলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চ ঘাট এলাকায় মানুষের চাপ বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। তবে কোনো প্রকার দুর্ভোগ ছাড়াই কর্মস্থলে ফেরা মানুষ ও দূরপাল্লার বাস সহজেই ফেরি ও লঞ্চের দেখা পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দেখা যায়, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে ঘাটে আসছেন। অনেক যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে দূরপাল্লার বাসে না এসে লোকাল গাড়িতে এসে ঘাটে নামছে। এরপর লঞ্চ ও ফেরিতে পার হয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছে। তবে ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া সকালের দিকে যানবাহনের চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সারি বাড়তে থাকে। বেলা ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ১কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সারি আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে ১৯টি ফেরি চলাচল করাই যাত্রীবাহী বাসকে ঘাট এলাকায় খুব একটা বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
পোশাক শ্রমিক সোহেল শেখ বলেন, ঈদ করতে বাড়িতে যেতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। আবার ছুটি শেষে এখন কর্মস্থলে ফিরছি। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই আমি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরির নাগাল পেয়েছি। ঘাট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণেই দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ স্বস্তিতে এবার ঈদ যাত্রা করতে পারল।
আরেক যাত্রী মাসরুর রহমান বলেন, ছুটি শেষে এখন কর্মস্থলে ফিরছি। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঘাটে এসেছি, তবে যানবাহনগুলোতে চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। তাছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, এবার স্বস্তিতেই মানুষ ঘরে ফিরতে পেরেছে। এখন কর্মস্থলে ফেরার পালা। আশাকরি ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ কর্মস্থলে ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে আমাদের ২১টি ফেরি প্রস্তুত আছে। যানবাহনের চাপ কম থাকায় এখন ১৯টি ফেরি চলছে। তবে গাড়ির চাপ বাড়লে তখন বাকী ২টিও চালানো হবে।
মীর সামসুজ্জামান/আরআই