অন্য রুটে চাপ থাকলেও বরিশাল থেকে সরাসরি ঢাকা রুটের বাসে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক। ঈদ পরবর্তী দুই দিন ন্যূনতম ভিড় না থাকলেও শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকে নির্ধারিত যাত্রীর বাইরে টিকিটের জন্য ভিড় করতে দেখা গেছে। তবে বরিশাল-ঢাকা রুটে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক থাকলেও চাপ রয়েছে বরিশাল-কক্সবাজার রুটে।

বাস কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, লঞ্চের কারণে বিগত বছরেও বাড়তি চাপ ছিল না বাসে। এ বছরও তার ব্যত্যয় হয়নি। যদিও কাঠালবাড়ি-মাওয়া রুটে বরিশাল থেকে বিগত বছরের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের চিত্র এমন। 

সাকুরা পরিবহনের বরিশালের ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন, আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত বরিশাল থেকে ঢাকা রুটের সকল বাসের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। বিগত দুই দিন বাস টার্মিনাল একেবারে ফাঁকা ছিল। আজ সকাল থেকে যাত্রীর ভিড় বাড়ছে।

 

ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আরিফ বলেন, আজ যাত্রীর ভিড় বাড়লেও তা আহামরি তেমন কিছু না। স্বাভাবিক দিনের মতোই ভিড়। মূলত বরিশাল থেকে অধিকাংশ যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করে বলেই কোনো সময়েই বেশি যাত্রীর চাপ ছিল না সরাসরি রুটে। তারপরও এ বছর সন্তোষজনক।

হানিফ পরিবহনের ক্যাশিয়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ৮ মে পর্যন্ত আমাদের সকল গাড়ির টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ জন্য কাউন্টারে তেমন কোনো চাপ নেই। যাত্রীরা আসেন। যার যার আসনে বসেন। গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের যাত্রীর চাপ অন্য যেকোনো ঈদ যাত্রার চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন সৌদিয়া পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সৈয়দ আরিফ। তিনি জানান, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনেক লোক এসেছে। তাদের টিকিট দিতে পারিনি। এ বছর হঠাৎ কক্সবাজার রুটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। 

ঢাকাগামী যাত্রী সুমন বলেন, মাওয়া রুটের বাসে ওঠা অসম্ভব। দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। তার ওপরে ৪২ জনের গাড়িতে প্রায় ৮০ জন নিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সরাসরি ঢাকা রুটের সার্ভিসে টিকিট নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কাউন্টার ঘুরেই পেলাম না।

কক্সবাজারগামী যাত্রী তামিম বলেন, পরিবারের সকলে মিলে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৮ তারিখের টিকিট আজ হাতে পেলাম। এই রুটে এর আগে চাপ না থাকলেও এবার হঠাৎ টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশেে কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, ঈদ শেষে মানুষ যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে এ জন্য নগরীর সকল বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই