টিউবওয়েল পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা হাসি বেগমের | ছবি : ঢাকা পোস্ট

মাগুরার মহম্মদপুরে মুজিববর্ষে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে পৌঁছেছে বিদ্যুতের লাইন। বসানো হয়েছে বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফুটেছে। সেখানে বসবাসের জন্য তারা গৃহস্থালী সামগ্রী ঘরে তুলছেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় জমিও নাই ঘরও নাই এমন পরিবার রয়েছে ২৮৭টি। তাদের মধ্যে ৩০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি এসব ঘর উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ৪০ জনের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ ও টিউবওয়েল না থাকায় ঘর হস্তান্তরের পরও অনেকে সেখানে ওঠার আগ্রহ দেখায়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় ও টিউবওয়েল বসানো হয়। 

উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নে ঘর পাওয়া আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আলো নাই, পানি নাই। এ জন্য ঘরে উঠি নাই। এখন টিউবওয়েল পোতা হইছে। আলোর জন্য বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হয়েছে। আমরা ঘরে উঠে গেছি।

পানি-বিদ্যুৎ পাওয়ায় হাসিমুখে রান্না করছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা হাজেরা খাতুন | ছবি : ঢাকা পোস্ট

ঘর পাওয়া চরছাতিয়ানি গ্রামের হাজেরা খাতুন বলেন, আগে পানি ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না। এখন সব হইছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘরে উঠছি। 

চরছাতিয়ানি গ্রামের আবুল কালাম মোল্যা জানান, প্রধানমন্ত্রীরে আল্লাহ মেলাদিন বাঁচায় রাহুক। তার কারণে ঘর পাইছি। পানি পাইছি, বিদ্যুতও পাইছি।

উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেশ কয়েকটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। আরও কিছু টিউবওয়েল বসানোর কাজ চলছে। বিদ্যুতের লাইন ঘর পর্যন্ত পৌঁছানো হয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে বিদ্যুৎ লাইন থাকলেও ঘরে ওয়্যারিংয়ের কাজ করাতে পারেননি অনেকে। 

শারমিন খাতুন নামে এক নারী বলেন, আমি ঘরের ওয়্যারিংয়ের কাজ করাতে পারছিলাম না। পরে মালামাল কিনে দিয়েছি। এখন ঘরে আলো পাবো। ঘরে থাকতি আর সমস্যা নাই।

মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, অনেকে ঘরে থাকতে চান না, এ তথ্য সঠিক নয়। তারা সব সুবিধা নিয়েই সেখানে আছেন।

জালাল উদ্দিন হাককানী/আরএআর