শেরপুরে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দুই ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রধান রাস্তা প্লাবিত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝিনাইগাতী সদর ও ধানশাইল ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই দুই ইউনিয়নের ১০ গ্রামের অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঝিনাইগাতী বাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর বলেন, আমি অনেক দিন থেকে এ বাজারে ব্যবসা করি। কিন্তু পাহাড়ি ঢল এলেই মহারশীর বাঁধ ভেঙে আমাদের বাজারে পানি ঢোকে। এতে আমাদের অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। একটি বেড়িবাঁধের দাবি আমাদের অনেক দিনের। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সেটি পাচ্ছি না।
সদর উপজেলার বাসিন্দা সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে ঘুম থাইকা ওইঠা দেহি আমাগর বাড়িত পানি ঢুকতাছে। অল্প সময়েই পানি ঢুইকা পুরা বাড়ি ডুইবা গেল। রান্নাবান্না করার চুলাও বন্ধ। এহনো চিড়া-মুড়ি খাইয়া আছি।
বিজ্ঞাপন
সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহিদুল হক মনির বলেন, আমরা প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। যাদের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তালিকা শেষ হলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হঠাৎ করে সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে উপজেলা পরিষদে পানি ওঠায় সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। উপজেলায় প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে।
এদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জাহিদুল খান সৌরভ/এসপি