শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ে বসতিদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ
মৌলভীবাজারে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পাহাড়ে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (৮ জুন) শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য এ নির্দেশনা দেয়।
গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণে জেলার টিলাভূমি ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি দ্রুত নরম হয়ে আসছে। এতে টিলা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান কমলগঞ্জ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছেন। তিনি সদর ইউনিয়নের বাগমারার রাসটিলা এলাকা পরিদর্শন করেন। এ এলাকায় অব্যাহত টানা বর্ষণের পর ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ভূমিধসের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন থাকতে বলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হাইড্রোলজি বিভাগ জানায়, এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ চলছে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
বিজ্ঞাপন
পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র চন্দ্র বৈদ্য জানান, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে সিলেট বিভাগের সর্বোচ্চ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবার (৬ জুন) সিলেটের লালা খালে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সেই এলাকায় পাহাড় ধসে ৪ জন ঘুমন্ত নাগরিক নিহত হন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মিঠুন জানান, নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৭ জুন থেকে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে পাহাড়/টিলার পাদদেশে বসবাসরত জনসাধারণকে নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে। এ মর্মে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী বিভিন্ন বাড়ি ও পানপুঞ্জিতে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ফলে টিলা ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি নরম হয়ে গেছে। তাই বুধবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পাহাড় ও টিলায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান কমলগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের প্রয়োজনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করার নির্দেশ প্রদান করেন।
ওমর ফারুক নাঈম/এনএ