রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের টেনে এনেছে
রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভিড়
তিন দিনের ছুটি সামনে রেখে পর্যটকদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী রাঙামাটি। দেশের নানা প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শহরের বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখা যায় লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে স্থানগুলো।
সরেজমিনে সিম্বল অব রাঙামাটিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রিজে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পর্যটক ভিড় করেছেন সেতুটিতে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম থেকে আসা পাভেল-রিমি দম্পতি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেড়ানোর জন্য আমাদের প্রথম পছন্দ পাহাড়। তাই টানা তিন দিনের ছুটি থাকার কারণে রাঙামাটি বেড়াতে এসেছি। রাঙামাটির পাহাড় ও হ্রদের এই মিশেল যেকোনো ভ্রমণপিপাসুর মন জয় করবে নিঃসন্দেহে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সামাজিক সংগঠনগুলো বার্ষিক বনভোজনের জন্য এসেছেন রাঙামাটিতে। কুস্টিয়া নবারুন সংঘ থেকে আসা সংগঠনের সভাপতি বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বার্ষিক বনভোজনে এসেছি। রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের টেনে এনেছে।
বিজ্ঞাপন
ঝুলন্ত ব্রিজের পাশাপাশি ভিড় লক্ষ করা গেছে শহরের পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, পেদা টিং টিং এবং আরণ্যক হলিডে রিসোর্টেও। পর্যটকদের পাশাপাশি এসব জায়গায় স্থানীয় জনগণদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে।
তবে বেড়াতে আসা অনেকে হোটেল রুম না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তারা বলেন, রাঙামাটিতে পর্যটকদের থাকার জন্য হোটেল-মোটেলের যথেষ্ট অপর্যাপ্ততা রয়েছে। পর্যটন নগরীর তুলনায় এখানে হোটেলের সংখ্যা খুবই কম।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বড়ুয়া বলেন, টানা তিন দিন ছুটি এবং শীত মৌসুমের শেষের দিক হওয়ায় এখন পর্যটকদের চাপটা একটু বেশি রয়েছে। আমাদের সব রুম তিন দিন আগ থেকে বুকিং হয়ে আছে। পর্যটকদের চাপটা খানিকটা কমে এলে হোটেল সংকট থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার হোটেল গ্রিন ক্যাসেলের স্বত্বাধিকারী মো. আসাদ বলেন, দিন দিন রাঙামাটিতে পর্যটক আগমনের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে হলে সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে আরও হোটেল নির্মাণ করা প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
টগর রাজ মিশু মল্লিক/এনএ