সন্তানকে ঘুমিয়ে রেখে কাজে গেলেন মা, এসে পেলেন গলাকাটা লাশ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তাওহিদ সরকার নামে পাঁচ বছরের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাওহিদ ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল গফুর সরকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাওহিদকে ঘুমিয়ে রেখে মা দুলালী খাতুন বাড়ির সামনে জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না।
বিজ্ঞাপন
বেলা ১১টার দিকে দুলালী খাতুন ঘরে ফিরে তাওহিদকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাওহিদকে চাচা সোলায়মান আলী ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাওহিদ হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি উদ্ধার করে পুলিশ।
তাওহিদের মা দুলালী খাতুন বলেন, সকালে তাওহিদকে ঘুমিয়ে রেখে শাশুড়ির সঙ্গে বাড়ির সামনে জমিতে কাজ করছিলাম। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। ঘরে ফিরে দেখি গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে তাওহিদ। চিৎকার দিয়ে ছেলেকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বের হই। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানি না।
বিজ্ঞাপন
তাওহিদের চাচা সোলায়মান সরকার বলেন, জমিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। খবর পেয়ে গলাকাটা অবস্থায় ভাতিজাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. পিয়াস পারভেজ বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাওহিদের গলাকাটা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাওহিদ হত্যায় ব্যবহৃত রক্তাক্ত বটি উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি, তাওহিদকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/এএম/ওএফ