পদ্ম সেতু মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের সর্বোচ্চ দাবি ও আকাঙ্ক্ষার বিষয়। আজ তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে কেসিসির ১০ম বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে, যা আমাদের সকলের জন্য আনন্দের। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ দেশের মানুষের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার অমরকীর্তি হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন।
সভায় আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং আসন্ন ঈদুল আজাহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মহানগরীর প্রবেশদ্বার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহে গেট নির্মাণ, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ আলোকসজ্জা ও শহীদ হাদিস পার্কে ডিজিটাল বোর্ড ও প্যানা স্থাপনের মাধ্যমে এই বর্তমান সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের প্রচার-প্রচারণা চালানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জুন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে শহীদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া আধুনিক ব্যবস্থাপনায় কোরবানির পশুর হাট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপনকে আহ্বায়ক এবং পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলরদেরকে সদস্য করে কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা কমিটি গঠন, পশুর হাঠে প্রবেশে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, অবৈধ পশুর হাট বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নগরীর সড়কসমূহ পরিচ্ছন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ঈদুল আজহার দিনে মহানগরী এলাকার বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কেসিসির মেয়র প্যানেলের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না, মো. আলী আকবর টিপু, অ্যাডভোকেট মেমরী সুফিয়া রহমান শুনুসহ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম।
পরে বিকেলে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে কঞ্জারভেন্সী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক সভায় মিলিত হন। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রাক্কালে নগরীতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সভা আহ্বান করা হয়।
সভায় সিটি মেয়র নগরজুড়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ পরিচ্ছন্নকরণ এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
কঞ্জারভেন্সী অফিসার মো. আনিসুর রহমান, সহকারী কঞ্জারভেন্সী অফিসার মো. আব্দুর রকিব, নূরুন্নাহার এ্যানী, মোল্লা মারুফ রশিদ, মো. জিয়াউর রহমানসহ ৩১টি ওয়ার্ডের কঞ্জারভেন্সী সুপারভাইজাররা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর