পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে ফেরিগুলোর নদী পার হতে স্বাভাবিক সময়ের থেকে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ধীরগতিতে চলায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও কমে গেছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা দিয়েছে যানজট। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আটকে আছে যানবাহন।

সোমবার (২০ জুন) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। 

ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ছেড়ে গেছে যানবাহনের সারি। শত শত যানবাহন ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে মহাসড়কে। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে যাত্রীবাহী বাস ফেরির নাগাল পেলেও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গোয়ালন্দ কার্যালয়ের গেজ রিডার সালমা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (রোববার) সকাল ৬টার পর থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বর্তমানে এ পয়েন্টে পানির লেভেল ৮ দশমিক ০৮ মিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে ২৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছিল। বর্তমানে পানি বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমেছে।

ট্রাক চালক তিতু মিয়া জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ধীরগতিতে হওয়ায় ঘাটে ভোগান্তি বেড়েছে। ফেরির জন্য পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ৬/৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মহাসড়কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে সঠিক সময়ে কেউই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।

বিআইডব্লিটিসির দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান ঢাকা পোস্টকে জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এতে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। নদী পার হতে স্বাভাবিক সময়ের থেকে দ্বিগুণ সময় লাগায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই রুটে থাকা ২০টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে। বাকি চারটি ফেরির মধ্যে দুটি ফেরি মেরামতের জন্য পাটুরিয়াতে ভাসমান কারখানাতে রয়েছে এবং আর দুটি ফেরি বেশি পুরাতন হওয়ার কারণে স্রোতে চলতে না পারায় বন্ধ রয়েছে।

মীর সামসুজ্জামান/আরআই