নিহত মো. সায়েদ খান নিরব

খুলনায় খেলাধুলার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনায় মো. সায়েদ খান নিরব (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত কিশোর নিরব ওই এলাকার মো. নিরু খানের ছেলে এবং দৌলতপুর শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় সাদিদ তালুকদার (১৪) নামে এক কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

সায়েদ খান নিরবের বাবা মো. নিরু খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়। আমি প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে নিতে বলি এবং রেলগেট থেকে রওনা দিই। স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হলে মারপিটের ঘটনা শুনে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। দ্রুত খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তবে কী কারণে বা কেন আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে আমি এখনো কিছুই জানতে পারিনি। যে মেরেছে সে তার সঙ্গে লেখাপড়াও করে না। এ ঘটনায় পুলিশ এসেছিল, আমিও থানায় গিয়েছি। নিরব আমার একমাত্র ছেলে।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সামনে কয়েকজন কিশোরকে নিয়ে খেলা করছিল নিরব। এ সময় অপর কিশোর সাদিদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় তার। এক সময় নিরব সাদিদকে একটা চড় মারে। উভয়ের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। 

সাদিদ নিরবকে একাধিক কিলঘুষি মারতে থাকে। একটি ঘুষি কানের নিচে লাগলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। নিরব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পালিয়ে যায় সাদিদ। পরে তাকে উদ্ধার করে নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকরা নিহতের বাড়িতে খবর দেয়। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সাদিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। সাদিদ সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা-পড়া করেছে। সে স্থানীয় একটি মোটর গ্যারেজের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছে। এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।  

মোহাম্মদ মিলন/আরআই