বরিশালে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার দুই দিন পরও সন্ধান মেলেনি এক জেলের। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিদল দুই দিন অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ ওই জেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি।

সোমবার (২০ জুন) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশালের উপ-সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সন্ধ্যায় সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে। তবে সন্ধ্যা নদীর স্রোত এত বেশি যে নিখোঁজ ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। জলাশয় বা পুকুর হলে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি উদ্ধার করা সম্ভব দ্রুত। কিন্তু খড়স্রোতা নদীতে কেউ পড়ে গেলে তাদের অবস্থান বারবার পরিবর্তন হয় স্রোতের কারণে।

উদ্ধার অভিযান চালানো ডুবুরি রাব্বি শেখ বলেন, সাধারণত ২৪ ঘণ্টা পর মরদেহ পানির নিচে থাকে না। ভেসে ওঠে। এখন আমরা ধরে নিতে পারি যেই জেলে নদীতে পড়ে গেছেন তিনি আর বেঁচে নেই। আমরা স্বজনদের বলেছি ট্রলার নিয়ে নদীর উপরিভাগে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালাতে। 

এই ডুবুরি আরও বলেন, আমি এবং বেলাল হোসেন দুই দফায় নদীর তলদেশে সন্ধ্যান চালিয়েছি। সন্ধ্যা নদীর তলদেশে এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকাটা অসম্ভব।

প্রসঙ্গত, উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের সন্ধ্যা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে রোববার (১৯ জুন) বিকেলে বজ্রপাতের শব্দে একই নৌকায় থাকা সিফাত (১১) ও রিয়াজ (১৮) নদীতে ঝাপ দেন। সিফাত নদী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও রিয়াজ উঠতে পারেননি। এরপর থেকেই রিয়াজ নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের দিদিহার গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের বড় ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী কাওছার হোসেন বালী বলেন, শুধু ফায়ার সার্ভিস নয় এলাকাবাসীও গতকাল থেকে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত রিয়াজের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই