টাঙ্গাইলে বেসরকা‌রি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবন থেকে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর মর‌দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির নাম শিহাব মিয়া। সে জেলার সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যার দি‌কে শহ‌রের বিশ্বাস বেতকা সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবন থেকে তার মর‌দেহ‌টি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা।

‌শিহা‌বের পরিবারের অভিযোগ, এটি রহস্যজনক মৃত্যু। এটা কোনো স্বাভাবিক ও আত্মহত্যার মতো কোনো ঘটনা নয়। 

জানা গে‌ছে, সৃষ্টি একা‌ডে‌মিক, সৃষ্টি শিক্ষা প‌রিবার না‌মে সারা‌দে‌শে প্রতিষ্ঠান‌টি শিক্ষা বা‌ণিজ্য কর‌ছে। ত‌বে টাঙ্গাইল সৃ‌ষ্টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা‌নে বি‌ভিন্ন সময় শিক্ষার্থী‌দের নির্যাতনের অ‌ভি‌যোগ থাক‌লেও প্রভাব‌শালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তা‌দের বিরু‌দ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অ‌ভি‌যোগ র‌য়ে‌ছে। 

শিশুটির ফুফাতো ভাই আল আমিন সিকদার বলেন, চার মাস আগে সৃষ্টিতে ৫ম শ্রেণিতে শিহাব মিয়াকে ভর্তি করা হয়। সৃষ্টি থেকে আমাদের জানানো হয়েছে শিহাবের দুর্ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। আবার ফোন করে বলে শিহাব মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। শিহাব যেখানে থাকতো আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। শিহাব আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না। আমরা মনে করছি এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তদন্ত সাপেক্ষে সৃষ্টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

শিহাবের দাদা ইসমাইল হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলে সব সময় শিহাবকে পাওয়া যেত না। সৃষ্টি কর্তৃপক্ষ শিহাবের হাতে ফোন দিত না। বিষয়টি খুব রহস্যজনক।

সৃ‌ষ্টি একা‌ডে‌মিক স্কু‌লের শিক্ষক শ‌হিদ ব‌লেন, ওই শিক্ষার্থীর মর‌দেহ বাথরু‌মের ঝর্ণার সঙ্গে গামছা পেঁচি‌য়ে আত্মহত্যা ক‌রে‌ছে। মায়ের সঙ্গে ব‌নিবনা না হওয়ায় ছে‌লে‌টি আত্মহত্যা কর‌তে পা‌রে। 

সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসেন বলেন, সে ঝর্ণার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটির গলার নিচে হালকা দাগ আছে। তাছাড়াও শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তদন্ত চলমান রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মূল ঘটনা জানা যাবে।

অ‌ভি‌জিৎ ঘোষ/এমএএস