টাঙ্গাইলে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত, তবে পাচ্ছেন না বন্যার্তরা
টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ক্রমেই অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। সড়ক ও বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পানিবন্দি মানুষ।
এদিকে জেলার ৬ উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হলেও এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি বন্যার্তরা। যদিও প্রশাসনের দাবি, বন্যার্তদের সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। তলিয়ে যাচ্ছে একরের পর একর জমির পাট, আউশ, ধানসহ বিভিন্ন ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূঞাপুর উপজেলার গাবাসারা, অর্জুনা ও গোবিন্দাসী ইউনিয়ন।
বিজ্ঞাপন
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনার পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারেনি যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতু অংশে। বর্তমানে সেতু অংশে ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে জেলার ভূঞাপুরে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের বসতিরা। এছাড়া যমুনা নদীর পাড় উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুসেইন বলেন, উপজেলায় দুটি এলাকায় বন্যার পানিতে বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। আগে মজুত থাকা ত্রাণ সহায়তায় মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিজিৎ ঘোষ/এসপি