ফাইল ছবি

বরিশাল নদীবন্দরে প্রবেশের শুল্ক ফি তছরুপ করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এক কর্মকর্তাকে বদলি এবং তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

রোববার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। 

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম বরিশাল নদীবন্দরে অভিযান চালায়। সেখানে টোলের টিকিট বিক্রি নিয়ে কিছু অনিয়মের প্রমাণ পায় সংস্থাটি। এই প্রতিবেদন বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়ে জানালে টিকিট বিক্রির অনয়িমের সঙ্গে জড়িত তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

যেহেতু বন্দরের প্রধান হিসেবে আমার ওপরেও দায় বর্তায় সেহেতু আমাকেও ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বদলি করা হয়েছে, জানান তিনি।

এই কর্মকর্তা জানান, আমার অধীনে মোট ২৪ জন কর্মরত। এর মধ্যে অনিয়মের দায়ে ৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি ২১ জনও সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। বাকি ২১ জনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। যেহেতু সামনে ঈদুল আজহা, তাৎক্ষণিক স্টেশন খালি করে ফেললে যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হবে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) কাজী ওয়াকিল নওয়াজ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে বরিশাল নদীবন্দরের তিনজন কর্মচারীর অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন ফারুক সরদার, মাসুদ হোসেন খান ও মনির হোসেন। এরা সবাই শুল্ক আদায়কারী। এ ছাড়া নদীবন্দর কর্মকর্তাকে বদলি বরা হয়েছে। শনিবার (২ জুলাই) অফিস আদেশে উপরোক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২৮ জুন বরিশাল নদীবন্দরে দুদকের পরিচালিত অভিযোনে নদী বন্দরের ২ নম্বর কাউন্টারে বিক্রি করা ৮৬৩টি টিকিট কাউন্টারের ড্রয়ার ও ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনের খাতা জব্দ করে দুদক।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই