ইউটিউবারের ওজন ৩০ মণ, ৭ লাখে বিক্রি করবেন খামারি
শেরপুরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘ইউটিউবার’ নামে একটি ষাঁড়। ষাঁড়টির ওজন ৩০ মণ (১২০০ কেজি)। বড় গরু হওয়ায় তাকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
জানা গেছে, শেরপুর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে বাজিতখিলার কুমড়ী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া একজন ইউটিউবার। ইউটিউবের সুবাদে তার অভাবের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। ইউটিউবের আয় থেকে তিনি বাড়িতে তিনটি গরু কিনে লালন-পালন করছেন। তিনটি গরুর মধ্যে একটির নাম দেওয়া হয়েছে ইউটিউবার। আরেকটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে সাথী এবং অন্যটি গাভি। খামারি ইউটিউবারের দাম চাচ্ছেন ৭ লাখ টাকা।
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিনই ইউটিউবারকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসছেন। হাফেজ আল আমীন তাদের একজন। তিনি এসেছেন ঝিনাইগাতীর বনগাঁও থেকে। তিনি বলেন, আমি কখনো এত বড় গরু দেখিনি। তাই এ গরুটি দেখতে এসেছি। গরুটি দেখে খুব ভালো লাগল।
শেরপুর শহর থেকে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টি দেখে খুব ভালো লাগছে। টিভিতে কোরবানির হাটে বড় বড় গরু উঠতে দেখেছি । আজ বাস্তবে দেখলাম।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টি দেখে খুব ভালো লাগে। আমার ইচ্ছা আমিও এ রকম একটা গরু পালন করব।
ইউটিউবার ও খামারি সুমন আহম্মেদ বলেন, আমি একজন ইউটিউবার। ইউটিউব থেকে রোজগার করে গরুগুলো লালন-পালন করছি। তাই ষাঁড়টির নাম দিয়েছি ইউটিউবার। তার সঙ্গে আরও একটি গরু পালন করছি। নাম দিয়েছি সাথী। ইউটিউবারকে ঘরের বাইরে বের করা হয় না। কেউ বাড়িতে এসে ষাঁড়টি ক্রয় করতে চাইলে সাত লাখ টাকায় বিক্রি করে দেব। আর সাথীকে তিন লাখ টাকা হলেই বিক্রি করব।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষিত যুবক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খামার করে লাভবান হচ্ছেন। আমরা তাদের উৎসাহ দিচ্ছি এবং নানাভাবে সহযোগিতা করছি।
এসপি