আলেয়া খাতুন, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

রাজবাড়ীতে ৩০ লাখ টাকার ভুয়া কাবিননামা করার অভিযোগে মামলায় কারাগারে গেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন। সুমন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে স্বামী হিসেবে দাবি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

রোববার (৩ জুলাই) আদালতে জামিন চাইতে গেলে ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সুমন হোসেন আলেয়া খাতুন ও ভুয়া কাবিনের দুই সাক্ষীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেন। কাবিনে স্বামী হিসেবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের সুমন মিয়াকে স্বামী হিসেবে দাবি করেন। এরপর এ কাবিন দিয়ে আলেয়া খাতুন সুমন মিয়ার কাছে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করেন এবং স্বীকৃতি না দিলে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি।

এ ঘটানার পর সুমন মিয়া রাজবাড়ী ১ নম্বর আমলি আদালতে কাবিননামাটি ভুয়া ও জাল উল্লেখ করে মামলা করেন ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তভার দেন।

শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে কাবিননামাটি ভুয়া মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। এরপর রোববার দুপুরে আদালতে জামিন নিতে গেলে ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক আলেয়া খাতুন ও কাবিননামার দুই সাক্ষীকে কারাগারে পাঠান।

এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন হায়দার বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের মো. সুমন মিয়াকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন স্বামী হিসেবে দাবি করেন। এর বিরুদ্ধে সুমন মিয়া বাদী হয়ে রাজবাড়ীর ১ নম্বর আমলি আদালতে “আলেয়া খাতুনের বিয়ের ৩০ লাখ টাকা ভুয়া কাবিননামা” দাবি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত আলেয়া খাতুন ও কাবিননামায় স্বাক্ষর করা দুই সাক্ষীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

মামলার আসামি হিসেবে আলেয়া খাতুন ও তার দুই সাক্ষী রোববার দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ