শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় শিল্প, পর্যটনসহ নানামুখী সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এদিকে আসতে চাচ্ছেন, কিন্তু কী ধরনের শিল্প এখানে উপযোগী, কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ লাভজনক হবে, সে ধরনের তথ্য-উপাত্ত তারা চাচ্ছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার মাধ্যমে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।

রোববার (০৩ জুলাই) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ ভবনের উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতিসহ অর্জন ও গৃহীত পরিকল্পনা উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সময়ের চাহিদা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন ইকো সিস্টেম তৈরি করতে হবে। এছাড়া ইউজিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাজ করার জন্য আরও নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম, সফট অবকাঠামো প্রকল্পসহ কয়েকটি বিষয়ে শিগগিরই অনুমোদনের ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গবেষণা পরিকল্পনাসহ গৃহীত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার ব্যাপারে যে গুরুত্ব দিয়েছেন, সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির গাইডলাইন অনুসরণ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় উৎসাহী করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। পাওয়ার পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও অগ্রগতি উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। এ সময় ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ মিলন/এসপি