ঈদের আর কয়েক দিন বাকি। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। ফেরিঘাটে বাড়ছে চাপ। তবে আগের মতো কোনো বিড়ম্বনা ছাড়াই নদী পার হচ্ছে সবাই। কারণ, ঘাট এলাকায় কোনো জটলা নেই।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোকেও পদ্মা পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। আবার ঘরমুখো মানুষকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতেও কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।

বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। ঘাট এলাকায় কোনো যানজট না থাকায় সহজেই বিভিন্ন যানবাহনে করে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটছে সবাই। অপর দিকে লঞ্চঘাট এলাকায়ও তেমন কোনো ভিড় নেই। সব মিলে স্বস্তিতে যাত্রীরা প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের কোনো সারি নেই। বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ৭৩০টি যানবাহন পাটুরিয়া ঘাটে গেছে। এর মধ্যে ১১০টি যাত্রীবাহী বাস, ৪০০টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ২২০টি ছোট যান রয়েছে।

এ ছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মোট ২১টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি সচল রয়েছে। বাকি তিনটি ফেরি শাহ আলী, মতিউর ও বনলতা পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে।

কুমারখালিগামী মোটরসাইকেল আরোহী এজাজ আহম্মেদ বলেন, ঈদের আগে ও পরে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগেভাগেই মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। ঈদের পর নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবার ঢাকা ফিরব। তবে গতবারের মতো এবার ঘাটে ও মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। স্বস্তিতেই নদী পার হতে পেরেছি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার ঈদযাত্রায় মানুষের স্বস্তি ফিরবে। উভয় ঘাটেই যানবাহনের চাপ না থাকায় তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। এ ছাড়া যাত্রী ও যানবাহন ঘাটে এসে সহজেই ফেরির দেখা পাচ্ছে। বর্তমানে এই রুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। আগামী শুক্রবার থেকে এই রুটে ২১টি ফেরি চলাচল করবে।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ